ইনকাম " মৃণ্ময়ী কাল রাস্তায় তোকে একটা ছেলের সাথে দেখলাম কে সে ?" বাবার থেকে এরকম প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে যায় সে। একটু সামলে নিয়ে নিজেকে মৃণ্ময়ী আদুরে গলায় বলে ওঠে "বাপি , ও হল শৌভিক। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ও পথশিশুদের সাহায্য করে টুকটাক টিউশন পড়িয়ে।" - " আচ্ছা কাল তোমার মনের মানুষটিকে লাঞ্চে ডাকো বাড়িতে।" হেসে বলে ওঠেন মনোজ বাবু। - " আমার সুইট বাবা।" বাবাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে মৃণ্ময়ী। -" আর হ্যাঁ ওনার পছন্দের ডিশ শুনে নিস।" পেছন থেকে হাসিমুখে বলে ওঠে অনুপমা দেবী মানে মৃণ্ময়ীর মা। পরদিন সকাল থেকেই অপেক্ষা শুরু হয় শৌভিকের জন্য। বেলা একটায় কলিংবেল বাজতেই একছুট্টে দরজা খুলে শৌভিকের হাত ধরে টানতে টানতে সোফায় এনে বসিয়েই " বাপি , মামমাম তোমরা কোথায় ?" করে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তুলে নেয় মৃণ্ময়ী। অনুপমা দেবী ব্যস্ত রান্নাঘরে। তাই গিন্নিকে ছাড়া একা চলে আসেন মনোজ বাবু। " কেমন আছো শৌভিক ?" - " ভালো কাকু। আপনি ?" - " ভালো" -" চাকরি-বাকরি নিয়ে কী ভাবছো ?"
Posts
মধুরেণসমাপয়েৎ
- Get link
- Other Apps
মধুরেণসমাপয়েৎ - সায়নী সরখেল (চক্রবর্তী) লেখার আগে সবাইকে জানাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর অনেক শুভেচ্ছা। গত স্পেশাল ডে গুলোর উইশ খুব বাজে ভাবে করেছি,কেউ রাগ করবেন না,আমি এমনই। ফেব্রুয়ারি মাসটা বলতে গেলে পুরোটাই কাপলদের জন্য। আজ এই ডে কাল ওই ডে,তার ওপর আবার আবার সরস্বতীপূজা যা বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন্স ডে।একে তো রসমালাই তার ওপর আবার ক্ষীর।দিনগুলো নিয়ে অনেকেরই অনেক প্ল্যান আবার কিছু চিরসিঙ্গেলদের কাছে শুয়ে শুয়ে ল্যাদ খাবার যোগ্য সময়। যাইহোক, কথা না বাড়িয়ে চলুন গল্পে যাই। --------------------------------------------- কলেজ থেকে বের হয়ে কানে ফোন গুজে বাড়ির দিকে রওনা হলো বহ্নি,থুড়ি ফোন না হেডফোন। আপন মনে কথা বলতে বলতে বেখেয়ালি ভাবে সাপের মতো রাস্তা দিয়ে চলছিলো সে,যেন রাস্তা দিয়ে আর কেউ যাবেনা, ওটা ওর নিজস্ব।হঠাৎ করে পেছন থেকে এসে কেউ ধাক্কা মারতেই রাস্তায় কাদায় পরে গিয়ে মাখামাখি অবস্থা হয় বহ্নির। “ কোন শালারে ধাক্কা দিলি!!!!” বলতে বলতে উঠে দাঁড়ায় বহ্নি। ধাক্কা দেওয়া ব্যক্তি আর কেউ না,ছোটোবেলার বন্ধু তন্ময়। বন্ধু বললে হয়তো ভুল
ঋণ by Sayani Sarkhel
- Get link
- Other Apps
“কোথায় আছিস মা???” “কাজে আছি??কিছু বলবে???” “সাড়ে ৯ টা বাজলো। তোর কাজ এখনো শেষ হয়নি??আর কতো রাত করবি??” “ ফিরতে দেড়ি হবে আজ মা।চিন্তা করোনা।রাখছি”। বিরক্ত হয়ে ফোন রেখেদিল বৃষ্টি। বিরক্তির কারণ??? তার তো কোনো কাজ নেই আজ।প্রত্যেক শনিবারের মতো আজও হাফ অফিস। আচ্ছা তার মায়ের কি একবারও এই কথাটি মাথায় আসেনি?? যে আজ শনিবার??? সকালে মেয়ে কিছু মুখে না দিয়েই বেরহয়ে গেছে সেই দৃশ্য তার চোখতো এড়ায়নি। গতকাল রাত ২ টোয় একটা ফোন কেনো এতো ভেঙে দিয়েছিলো এই ডেঁপো মেয়েটাকে??? ভাঙার কারণ তার প্রিয়তমএর বিবাহের খবর।যার সাথে সাত জন্ম একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখা।যার সাথে সুখদুঃখ আনন্দ বেদনা সবটায় একসাথে পথচলার স্বপ্ন দেখা। নিজের প্রত্যেকটা সকাল দুপুর রাত যার নামে লিখে দেওয়া।যার বাগানে নিজেকে সে মাধবীলতা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল, নিজের শাখাপ্রশাখা বেষ্টন করে বাগান ভরিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেই প্রিয়তমের আজ বিয়ে।মন ভেঙে যাওয়াটাকি এব্যাপারে খুব অস্বাভাবিক??? নদীর পাড়ে বসে নদীর তীব্র পাকচক্রের দিকে চেয়ে জীবনের স্রোতে বয়ে যাওয়া দিন গুলোর সম্পর্কে ভাবছিল সে।হঠাৎ কি হলো???? চোখের জল কেনো রাগে
- Get link
- Other Apps
নিজের মত বাঁচো হিসেব যদি আবার করি ভুল , তর্কে যদি আবার যাই হেরে , অভ্যন্তরীণ সংকীর্ণতায় মন, ছন্দপতন হৃদয় ঘিরে ধরে । নাই বা হল পথের মাঝে দেখা , মনজুড়ে আমি ভাবি একা একা , অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই পথ , মন জুড়ে শুধুই ক্ষত আঁকা । নিকষ কালো গহীন চোরাপথ , সময় সাগরে রাবণসম ঢেউ , বালির মাঝে পড়েছি আমি চাপা , হাত বাড়িয়ে আসছে নাতো কেউ ! হঠাৎ ভাবি হতেম যদি পশু, নিজের লড়াই নিজে লড়তে হতো , সেরা হয়ে বেঁচে থাকতে হলে , হিংস্র শ্বাপদ যুঝতে একাই হতো । -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য
সঙ্গে যাবি? BY Tirtharaj Bhattacharjee
- Get link
- Other Apps
এই মেয়েটি সঙ্গে যাবি শাল-শিমুলের বন ? দেখবি সেথায় আকাশছোঁয়া শিমুল ফুলের লাল , সঙ্গে পাবি ছোট্ট একটা আধপাহাড়ী ঢাল | এই মেয়ে তুই সঙ্গে যাবি তাল-সুপুরির বন ? দেখবি সেথায় ছোট্ট পুকুর , জলের আলোড়ন | এই মেয়ে তুই সঙ্গে যাবি মুক্তোর প্রান্তর ? দেখবি সেথায় নদীর মাঝে মিষ্টি বালুর চর | এই মেয়ে চল সাগরপাড়ে , মাখনা বালি গায়ে ; ইচ্ছে যদি তোর থাকে আমিও দেব সায় | এই মেয়েটি চলনা পাহাড় , চাবাগানের সবুজ , পাহাড়ী ঢাল আর জ্যোৎস্না রাত মাখবি গায়ে রোজ | চলনা মেয়েটি কলকলাবি চলনা সাথে চল , এই মেয়ে তুই আদর পাবি আমার সাথে চল | -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য
মেঘলা by TIRTHARAJ BHATTACHARJEE
- Get link
- Other Apps
মেঘলা আকাশ, তুই-আমি রাস্তার মোড়ের ওই চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে | দূরে গাড়ির সারি | মাথার ওপর কিছু মশা উড়ছে | দমকা হাওয়ায় বারিবিন্দু ছড়িয়ে যাচ্ছে তোর চুলে , সেখান থেকে আস্তে আস্তে কপাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু জল নীচের দিকে নামছে | তোকে মোহময়ী লাগছিল | হঠাৎ গর্জে উঠল মেঘ | সবার সামনেই ভয়ে জড়িয়ে ধরলি আমায় | তোর কপালে নেমে আসা চুল আমি তর্জনী দিয়ে ঠিক করে কপালে আলতো চুম্বন না করা অবধি বুকে মুখ গুঁজে আমাকে জড়িয়েই দাঁড়িয়েছিলি | যদিও এসব এখন শুধুই ধূসর স্মৃতি | আমি আজও ব্যস্ততার মাঝে নেই জানিস ! তোর কথা ভেবেই ব্যস্ত হয়ে থাকি | যেদিন চলে যাচ্ছিলি , জানিস আমি এত্তটুকুও কাঁদিনি | শুধু তোর নিথর দেহটায় আলতো একটা চুম্বন ছিল আমার | জানিস আমি ভেবেছিলাম মেঘলা আকাশের বাদলা দিনে আমাদের সেই প্রথম ঘনিষ্ঠতা সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল হবে | কিন্তু যা হওয়ার সেটা তো হল না | তবে যেটা হল সেটা প্রথম ঘনিষ্ঠতার মেঘলা দিনের চেয়েও কয়েকগুণ বেশী ‘মেঘলা '| -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য
অমানিশি by SAYANI SARKHEL
- Get link
- Other Apps
মোহিনী, নাফিসা, তনিমা, জেনি আর দীপ্তশ্রী | পাঁচ মূর্তি। প্রত্যেকেই কলেজ স্টুডেন্ট ফাইনাল ইয়ারের। তবে সাবজেক্ট প্রত্যেকের আলাদাই ছিল। যদিও সিলেবাসে কি কি আছে সেটা কেউ জানত না | এরা এতো ক্লোজফ্রেন্ড ছিল যে দেখে মনে হতো যেন ১৫-১৬ বছরের বন্ধুত্ব। আসলে এদের দেখা কলেজের প্রথম বছরে।একসাথে থাকতে থাকতে প্রত্যেকেই একে অপরের বেস্টফ্রেন্ড হয়ে ওঠে। বলা ভালো একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে| মোহিনী রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারের মেয়ে।পড়াশুনোতে মোটামুটি। ছেলেদের নাচানো আর নেশাকরা তার কাজ।তবে আর যাই হোক এদের সাথে সে খুবই ভালো। হাসিঠাট্টা করতে সে ওস্তাদ। তনিমাকে সবসময় জ্বালানো তার স্বভাব ছিল। নাফিসা ব্যবসায়ী ঘরের মেয়ে।স্বভাব চরিত্র লেখাপড়াতে ভালোই।প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া পাবলিকদের মধ্যে নাফিসাও ছিল।তাই এসবের থেকে বন্ধুত্বই তার কাছে বেশি। দীপ্তশ্রীর বাবা নেভিতে চাকরি করতেন।বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন,তার মধ্যে একমাত্র মেয়ে,তাই বাবার আদরের বাদরিনী ছিল দীপ্তশ্রী।দেখতে ভালো, লেখাপড়াতে নবডঙ্কা। পরীক্ষার সমর নকলের বন্যাবয়ে যেত। মাসে ৪০০০ টাকা হাতখরচা পেলেও ফুচকা খাবার পর তার টাকা অন্যদের দিতে হতো।