Posts

Showing posts from May, 2018

‌‌ঋণ by Sayani Sarkhel

Image
“কোথায় আছিস মা???” “কাজে আছি??কিছু বলবে???” “সাড়ে ৯ টা বাজলো। তোর কাজ এখনো শেষ হয়নি??আর কতো রাত করবি??” “ ফিরতে দেড়ি হবে আজ মা।চিন্তা করোনা।রাখছি”। বিরক্ত হয়ে ফোন রেখেদিল বৃষ্টি।     বিরক্তির কারণ???  তার তো কোনো কাজ নেই আজ।প্রত্যেক শনিবারের মতো আজও হাফ অফিস। আচ্ছা তার মায়ের কি একবারও এই কথাটি মাথায় আসেনি?? যে আজ শনিবার??? সকালে মেয়ে কিছু মুখে না দিয়েই বেরহয়ে গেছে সেই দৃশ্য তার চোখতো এড়ায়নি।          গতকাল রাত ২ টোয় একটা ফোন কেনো এতো ভেঙে দিয়েছিলো এই ডেঁপো মেয়েটাকে??? ভাঙার কারণ তার প্রিয়তমএর বিবাহের খবর।যার সাথে সাত জন্ম একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখা।যার সাথে সুখদুঃখ আনন্দ বেদনা সবটায় একসাথে পথচলার স্বপ্ন দেখা। নিজের প্রত্যেকটা সকাল দুপুর রাত যার নামে লিখে দেওয়া।যার বাগানে নিজেকে সে মাধবীলতা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল, নিজের শাখাপ্রশাখা বেষ্টন করে বাগান ভরিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেই প্রিয়তমের আজ বিয়ে।মন ভেঙে যাওয়াটাকি এব্যাপারে খুব অস্বাভাবিক???         নদীর পাড়ে বসে নদীর তীব্র পাকচক্রের দিকে চেয়ে জীবনের স্রোতে বয়ে যাওয়া দিন গুলোর সম্পর্কে ভাবছিল সে।হঠাৎ কি হলো???? চোখের জল কেনো রাগে
নিজের মত বাঁচো   হিসেব যদি আবার করি ভুল , তর্কে যদি আবার যাই হেরে , অভ্যন্তরীণ সংকীর্ণতায় মন, ছন্দপতন হৃদয় ঘিরে ধরে । নাই বা হল পথের মাঝে দেখা , মনজুড়ে আমি ভাবি একা একা , অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই পথ , মন জুড়ে শুধুই ক্ষত আঁকা । নিকষ কালো গহীন চোরাপথ , সময় সাগরে রাবণসম ঢেউ , বালির মাঝে পড়েছি আমি চাপা , হাত বাড়িয়ে আসছে নাতো কেউ ! হঠাৎ ভাবি হতেম যদি পশু, নিজের লড়াই নিজে লড়তে হতো , সেরা হয়ে বেঁচে থাকতে হলে , হিংস্র শ্বাপদ যুঝতে একাই হতো । -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য

সঙ্গে যাবি? BY Tirtharaj Bhattacharjee

Image
এই মেয়েটি সঙ্গে যাবি শাল-শিমুলের বন ? দেখবি সেথায় আকাশছোঁয়া শিমুল ফুলের লাল , সঙ্গে পাবি ছোট্ট একটা আধপাহাড়ী ঢাল | এই মেয়ে তুই সঙ্গে যাবি তাল-সুপুরির বন ? দেখবি সেথায় ছোট্ট পুকুর , জলের আলোড়ন | এই মেয়ে তুই সঙ্গে যাবি মুক্তোর প্রান্তর ? দেখবি সেথায় নদীর মাঝে মিষ্টি বালুর চর | এই মেয়ে চল সাগরপাড়ে , মাখনা বালি গায়ে ; ইচ্ছে যদি তোর থাকে আমিও দেব সায় | এই মেয়েটি চলনা পাহাড় , চাবাগানের সবুজ , পাহাড়ী ঢাল আর জ্যোৎস্না রাত মাখবি গায়ে রোজ | চলনা মেয়েটি কলকলাবি চলনা সাথে চল , এই মেয়ে তুই আদর পাবি আমার সাথে চল | -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য                                       

মেঘলা by TIRTHARAJ BHATTACHARJEE

Image
                                        মেঘলা আকাশ, তুই-আমি রাস্তার মোড়ের ওই চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে | দূরে গাড়ির সারি | মাথার ওপর কিছু মশা উড়ছে | দমকা হাওয়ায় বারিবিন্দু ছড়িয়ে যাচ্ছে তোর চুলে , সেখান থেকে আস্তে আস্তে কপাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু জল নীচের দিকে নামছে | তোকে মোহময়ী লাগছিল | হঠাৎ গর্জে উঠল মেঘ | সবার সামনেই ভয়ে জড়িয়ে ধরলি আমায় | তোর কপালে নেমে আসা চুল আমি তর্জনী দিয়ে ঠিক করে কপালে আলতো চুম্বন না করা অবধি বুকে মুখ গুঁজে আমাকে জড়িয়েই দাঁড়িয়েছিলি | যদিও এসব এখন শুধুই ধূসর স্মৃতি ‏| আমি আজও ব্যস্ততার মাঝে নেই জানিস ! তোর কথা ভেবেই ব্যস্ত হয়ে থাকি | যেদিন চলে যাচ্ছিলি , জানিস আমি এত্তটুকুও কাঁদিনি | শুধু তোর নিথর দেহটায় আলতো একটা চুম্বন ছিল আমার | জানিস আমি ভেবেছিলাম মেঘলা আকাশের বাদলা দিনে আমাদের সেই প্রথম ঘনিষ্ঠতা সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল হবে | কিন্তু যা হওয়ার সেটা তো হল না | তবে যেটা হল সেটা প্রথম ঘনিষ্ঠতার মেঘলা দিনের চেয়েও কয়েকগুণ বেশী ‘মেঘলা '| -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য 

অমানিশি by SAYANI SARKHEL

Image
মোহিনী, নাফিসা, তনিমা, জেনি আর দীপ্তশ্রী | পাঁচ মূর্তি। প্রত্যেকেই কলেজ স্টুডেন্ট ফাইনাল ইয়ারের। তবে সাবজেক্ট প্রত্যেকের আলাদাই ছিল। যদিও সিলেবাসে কি কি আছে সেটা কেউ জানত না | এরা এতো ক্লোজফ্রেন্ড ছিল যে দেখে মনে হতো যেন ১৫-১৬ বছরের বন্ধুত্ব। আসলে এদের দেখা কলেজের প্রথম বছরে।একসাথে থাকতে থাকতে প্রত্যেকেই একে অপরের বেস্টফ্রেন্ড হয়ে ওঠে। বলা ভালো একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে|        মোহিনী রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারের মেয়ে।পড়াশুনোতে মোটামুটি। ছেলেদের নাচানো আর নেশাকরা তার কাজ।তবে আর যাই হোক এদের সাথে সে খুবই ভালো। হাসিঠাট্টা করতে সে ওস্তাদ। তনিমাকে সবসময় জ্বালানো  তার স্বভাব ছিল।         নাফিসা ব্যবসায়ী ঘরের মেয়ে।স্বভাব চরিত্র লেখাপড়াতে ভালোই।প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া পাবলিকদের মধ্যে নাফিসাও ছিল।তাই এসবের থেকে বন্ধুত্বই তার কাছে বেশি।        দীপ্তশ্রীর বাবা নেভিতে চাকরি করতেন।বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন,তার মধ্যে একমাত্র মেয়ে,তাই বাবার আদরের বাদরিনী ছিল দীপ্তশ্রী।দেখতে ভালো, লেখাপড়াতে নবডঙ্কা। পরীক্ষার সমর নকলের বন্যাবয়ে যেত। মাসে ৪০০০ টাকা হাতখরচা পেলেও ফুচকা খাবার পর তার টাকা অন্যদের দিতে হতো।

আলো by Tirtharaj Bhattacharjee

Image
আলো মেয়েটি বড্ড ভালো, নূতন নুপুর পায়ে, নিজের মত‌ ভালোই আছে, স্বপ্নগাথা গা‌য়ে। আলোর হাসি চাঁদের আলো, সোনায় মোড়া শরীর, রাজপুত্তুর খোঁজে আছে, আলোর মত নারীর। কে আছে ভাই আলোর মত, দয়ালু মনের প্রতীক? প্রয়োজনে যে অস্ত্র হাতে, বজ্রকঠিন, নির্ভীক। আলোর কাছে ভুল মানে ক্ষমা, প্রবল দোষে সাজা, নারী-পুরুষ সমান সবাই, প্রজা হোক বা রাজা। আদর্শতার প্রতীক আলো, আঁধার যত‌ই থাক, রাতবিরেতের দুঃস্বপ্ন, আলোর তেজে খাক।  -তীর্থরাজ ভট্টাচার্য্য

শ্রীময়ী by SAYANI SARKHEL

Image
ব্যস্ত রেলস্টেশন , শতলোকের মাঝ দিয়ে ছুটে বেরিয়ে আসছিলো শ্রীময়ী । না না , কেউ তাড়া করেনি । চেন্নাই থেকে কাজ সেরে ফিরছিল সে , অফিস ধরবার সুবাদে তার এই ছোটাছুটি । পিঠে ব্যগ , কানে ফোন , হাতে ফাইল । স্টেশন থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি ধরে অফিসের দিকে রওনা হলো সে । পুরো রাস্তা সে ফোনেই ব্যস্ত ছিল , এতোটাই ব্যস্ত যে নামার পর টাকা দিতে ভুলে যাচ্ছিল ।             এক নামি কোম্পানিতে সেলস ডিপার্টমেন্টএ হেড ছিল সে । তাই কাজের দায়িত্ব তার সবার থেকে একটু বেশিই ছিল । অফিসের বস ও তাকে অন্ধের মতোই বিশ্বাস করতো । কেননা কাজের প্রতি শ্রীময়ী ছিল খুবই সিন্সিয়র । নিজের দায়িত্ব সে ভালোমতোই পালন করতো ।                  অফিসে ঢুকে ব্যাগ ফাইল সব রেখে কিছুক্ষণ নিজের চেয়ারে হেলে বিশ্রাম নিয়েই সে ছুটলো বসের ঘরে - মে আই কাম ইন ম্যাম ! - আরে শ্রী তুমি !! তুমি অফিস কেনো এলে ? তোমায় তো ছুটি দিয়েছিলাম আজ । - না ম্যাম , ট্রেন ঠিক টাইমেই ঢুকে গেছে । বাড়ি গিয়ে একা একা সারাদিন সময় কাটবে